১। **ভালবাসা ও স্নেহ:** সন্তানের প্রতি গভীর ভালবাসা এবং স্নেহ প্রদর্শন করুন। তাদের সাথে সময় কাটান, তাদের কথা শুনুন, এবং তাদের অনুভূতি বুঝতে চেষ্টা করুন।
২। **সীমারেখা ও নিয়ম:** শিশুদের জন্য স্পষ্ট সীমারেখা ও নিয়ম স্থাপন করুন। এতে তারা নিরাপদ বোধ করবে এবং আচরণের ক্ষেত্রে সঠিক নির্দেশনা পাবে।
৩।**ইতিবাচক স্বিকৃতি:** শিশুদের ভাল কাজের প্রশংসা করুন এবং তাদের সাফল্য উদযাপন করুন। এটি তাদের আত্মপ্রত্যয় বাড়াতে সাহায্য করবে।
৪। **উদাহরণ স্থাপন:** আপনি যেভাবে আচরণ করেন, শিশু সেটি অনুসরণ করবে। তাই আপনি নিজে যে মূল্যবোধ এবং আচরণ প্রদর্শন করবেন, সেটাই শিশুরা শেখার চেষ্টা করবে।
৫।**শিক্ষামূলক ক্রিয়াকলাপ:** শিশুদের শিক্ষামূলক খেলাধুলা, বই পড়া, ছবি আঁকা, গান করা এবং সৃজনশীল কার্যক্রমে উৎসাহিত করুন। এটি তাদের মেধা এবং কল্পনাশক্তি বিকাশে সহায়তা করবে।
৬।**খোলামেলা যোগাযোগ:** সন্তানের সাথে খোলামেলা ও পরিষ্কার যোগাযোগ রাখুন। তাদের অনুভূতি, সমস্যাগুলি শুনুন এবং সহানুভূতির সাথে উত্তর দিন।
৭।**স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন:** স্বাস্থ্যকর খাদ্য, নিয়মিত খেলাধুলা, ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন। শারীরিক স্বাস্থ্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি মানসিক স্বাস্থ্যও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
৮। **সমন্বিত দায়িত্ব:** দুজন অভিভাবক থাকলে, দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিন। একে অপরকে সহযোগিতা করুন এবং সন্তান পালনের কাজে সমানভাবে অংশগ্রহণ করুন।
৯।**নিয়মিত পর্যবেক্ষণ:** সন্তানের শিক্ষাগত এবং সামাজিক উন্নতির ওপর নিয়মিত নজর রাখুন। প্রয়োজনে শিক্ষক এবং অন্য অভিভাবকদের সাথে পরামর্শ করুন।
১০। **ধৈর্য ও সহানুভূতি:** সন্তান বড় করার সময় ধৈর্য ধরুন এবং সহানুভূতিশীল থাকুন। শিশুরা ভুল করবে, কিন্তু তাদের সেই ভুল থেকে শেখার সুযোগ দিন।কি কাজ করা উচিত আর কি কাজ কাজ করা উচিত না, তার স্পষ্ট ধারণা দিন।
১১।** বিধি নিষেধ:” পারিবারিক ও ধর্মীয় অনুশাসনের সম্পর্কে বলুন ও তা পালনের চর্চা করতে বলুন। অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা রক্ষায় সামাজিক ও রাষ্ট্রিয় আইন সম্পর্কে ধারণা দিন।
এভাবে, একটি সুন্দর ও সুশৃঙ্খল পরিবারে সন্তান বড় করতে পারবেন এবং তাদের সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারবেন।
মনে রাখবেন, তাদের শৈশব খুব সংক্ষিপ্ত, তাই যতটুকু সম্ভব তাদের সময় দিন। কারন এটি চরম সত্যি কথা যে, একটি সময় আপনি চাইবেন কিন্তু তারা আপনাকে সময় দিতে পারবে না। যেহেতু আমাদের সন্তানরাই আমাদের সবকিছু, তাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য আমাদের এত আয়োজন, এত পরিশ্রম। সেটা করতে যেয়ে আমরা যেন তাদের প্রত্যাশিত আনন্দময় শৈশব থেকে বঞ্চিত না করি। কারন আজ যে শিক্ষা,নৈতিকতা, মূল্যবোধ,আচরণ, অনূশাষন শিখবে, তা তারা আজীবন অন্তরে ও মস্তিষ্কে ধারণ করবে এবং সেভাবেই নিজেদের জীবন পরিচালনা করবে।
ধন্যবাদ। সকলের জন্য শুভকামনা।
নাজমুস সাকেব রানা
নির্বাহী পরিচালক
ড্রইং স্কুল দিনাজপুর