প্রকৃতি থেকে শিক্ষা গ্রহণে পিতামাতার ভূমিকা

প্রকৃতি থেকে সন্তানের শিক্ষা গ্রহণে পিতা-মাতার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

এখানে কিছু ভূমিকা তুলে ধরা হলো:

১।নির্ধারিত সময়ের বাইরে প্রকৃতির সংস্পর্শে আনা:

শিশুদেরকে নিয়মিতভাবে প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানোর সুযোগ করে দিন। বনভোজন, হাঁটা বা বাগানে কাজ করা এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।

২।প্রাকৃতিক শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ:

পাতা, পাথর, ফুল ইত্যাদির মাধ্যমে শিশুদের শিক্ষার সুযোগ দিন। এভাবে তারা প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদান সম্পর্কে ধারণা পাবে।

৩।কৌতূহল উদ্দীপিত করা:

প্রকৃতির বিষয়ে প্রশ্ন করতে উৎসাহিত করুন এবং তাদের প্রশ্নের উত্তর দিন। এটি তাদের জানার আগ্রহ ও জ্ঞান বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।

৪।পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ:

শিশুদের বিভিন্ন প্রাকৃতিক কার্যক্রমে অংশ নিতে উৎসাহিত করুন। যেমন, পাখি দেখা, গাছের বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করা ইত্যাদি।

৫।প্রাকৃতিক তথ্য শেয়ার করা:

বিভিন্ন প্রাণী, উদ্ভিদ, পরিবেশ এবং প্রাকৃতিক পরিবর্তন সম্পর্কে তথ্য শেয়ার করুন। এটি শিশুদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি করবে।

৫।প্রাকৃতিক নীতিমালা শেখানো:

শিশুদেরকে প্রকৃতির প্রতি যত্নবান হতে শেখান। গাছ লাগানো, জঞ্জাল বা আবর্জনা সঠিক যায়গায় ফেলা , পানি অপচয় না করা ইত্যাদি বিষয়গুলো শিখিয়ে দিন।

৬।সৃজনশীল কাজের সুযোগ দেয়া:

প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত উপকরণ দিয়ে সৃজনশীল কাজ করতে দিন। উদাহরণস্বরূপ, পাতা দিয়ে ছবি আঁকা, কাঠ বা মাটি দিয়ে ছোটখাটো খেলনা তৈরি করা।

৭।প্রকৃতির সাথে সংযুক্ত সাহিত্য পড়ানো:

প্রকৃতি বিষয়ক গল্প, কবিতা বা প্রবন্ধ পড়তে দিন। এতে শিশুদের কল্পনাশক্তি ও ভাষাগত দক্ষতা বাড়বে।

৮।মডেলিং আচরণ:

শিশুরা অভিভাবকদের আচরণ অনুসরণ করে। তাই আপনি যদি প্রকৃতির প্রতি যত্নবান হন, তবে তারাও শিখবে।প্রকৃতি থেকে শিক্ষা গ্রহণে এসব কার্যক্রম শিশুর মানসিক, শারীরিক ও সামাজিক বিকাশে সহায়ক হবে।

নাজমুস সাকেব রানা

নির্বাহী পরিচালক

ড্রইং স্কুল দিনাজপুর